শিশুদের স্বপ্নপূরণে তাদের প্রচেষ্টাকে যোগ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৭:২২ পিএম

শিশুদের স্বপ্নপূরণে তাদের প্রচেষ্টাকে যোগ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

শিশুদের স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ ব্যাপারে শিশুদের প্রতি অভিভাবক এবং শিক্ষকদের যত্ন নেওয়ার আহবানও জানান তিনি।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে  আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য  শহীদুল ইসলাম, পরিষদের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও ফারজানা সাহাদ চৌধুরী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ স্বপ্ন দেখতে হয়। যার স্বপ্ন নেই, স্বপ্ন পূরণের তাগাদা তার মধ্যে থাকে না। তাই আমি শিশু-কিশোরদের অনুরোধ জানাবো, তোমরা স্বপ্ন দেখবে এবং পাশাপাশি স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরন্তন প্রচেষ্টাকে যুক্ত করবে। তাহলে তোমাদের অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আর, কোনো কাযে হেরে গেলে ধৈর্য্য হারাবে না, বরং দ্বিগুণ উদ্যমে কাজ করবে, সাফল্য তোমাকে ধরা দেবেই।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ফেল করেও বিল গেটস একজন বিশ্বসেরা প্রতিভা হয়েছেন, নিম্নবর্ণ-অচ্ছুৎ হিসেবে শৈশব পার করা অম্বোদকার ভারতের আইন ও বিচার মন্ত্রী হয়েছিলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান এপিজে আব্দুল কালাম ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে শিশু-কিশোরদের সংগঠিত করা, ও তাদের মেধা বিকাশে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এ সংগঠনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং সবসময় এ সংগঠনের প্রতি সহানুভূতিশীল। কারণ শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। তাদেরকে যদি আমরা ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে জাতির ভবিষ্যতকে গড়ে তুলতে পারবো। সংগঠনের সাথে যুক্ত শিশুরা অন্যদের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ ভূমিকা রেখে চলেছে।”

শেখ রাসেল স্মরণে হাছান মাহমুদ বলেন, 'মাত্র ১০ বছর বয়সে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর যেমন অনেক মানবিক গুণাবলী ছিলো, তিনি যেমন একেবারে কৈশোর থেকে অপরের জন্য হাত প্রসারিত করেছিলেন, নিজের শার্ট স্কুলে থেকে আসার সময় অন্যজনকে দিয়েছিলেন, নিজের ছাতা আরেকজনকে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান যেমন নিজেদের গোলার ধান অন্যদেরকে দিয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক একই রকম গুণাবলী শেখ রাসেলের মধ্যে ছিল।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকত তাহলে সে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারতো এবং বাংলাদেশ উপকৃত হতো। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয় তখন শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। আমরা তার পবিত্র আত্মার শান্তি কামনা করি ও তার গুণাবলী দিয়ে আমাদের শিশুদের অনুপ্রাণিত করি।”

সভা শেষে আয়োজকদের সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন তথ্যমন্ত্রী।

Link copied!