মে ১, ২০২২, ০৪:৪৪ পিএম
শ্রমিকদের এখন অধিকার আদায়ের জন্য ডিসি-ইউএনও অফিস ঘেরাও করতে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
রবিবার দিনাজপুরের বিরল বাজারে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিরল উপজেলার শ্রমিক সংগঠনগুলো এই সমাবেশের আয়োজন করে।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের শ্রমিকদের এখন অধিকার আদায়ের জন্য ইউএনও অফিস ঘেরাও করতে হয় না। আগে দেখতাম শ্রমিকরা রাজপথ দখল করে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতেন। ডিসি অফিস- ইউএনও অফিস ঘেরাও করতেন। এখন আর তা করতে হয় না, কারণ আমাদের সরকার শ্রমিকবান্ধব সরকার।”
কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর বড় বড় জাহাজগুলো আগামী তিন চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মাতারবাড়ীতে নোঙ্গর করবে। আমাদের বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, যেখানে হাজার হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।”
তিনি বলেন, গাইবান্ধায় গোবিন্দগঞ্জের পথে আমাদের শুধুমাত্র একটি সুগার মিল ছিল, সেখানে পৃথিবীর বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান। সেখানে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে “ সেখানে শুধু হাজার হাজার নয়, লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং আমাদের এ অঞ্চলের অর্থনীতি বিকশিত হবে বলেও তিনি জানান।
করোনায় প্রতিবেশি দেশগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পার্শ্ববর্তী উন্নয়নশীল দেশগুলো কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে গেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালদ্বীপ, শ্রীলংকার মত দেশ ধনী থেকে গরীব হয়ে যাচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে ধরে রাখতে পেরেছি।”
বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, “শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এই বাংলাদেশকে আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে এবং এটা ধরে রাখার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
উপজেলা কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌরমেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা আফছানা কাওছার।