জুলাই ৬, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় একাধিক গৃহকর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপসচিব মেহেদী হাসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি ২১তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও উপসচিব নুরুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, উপসচিব মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ২০২০ সালে। তিনি তখন রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ছিলেন। একই বছর সংশ্লিষ্ট দূতাবাস একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি রিয়াদ থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এত দিন তিনি বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত ছিলেন। আজ তাঁকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে মেহেদী হাসানকে লিখিতভাবে প্রথমে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কর্মকর্তা লিখিত ও ব্যক্তিগত শুনানিতে যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক হয়নি। এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এবারও তিনি সন্তোষজনক বক্তব্য দিতে পারেননি। অবশেষে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা-আপিল) বিধিমালা ২০১৮–এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরামর্শও চাওয়া হয়। তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও পিএসসি অনুমোদন দিয়েছে। মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।