জুন ৩০, ২০২২, ০৩:০০ পিএম
স্কুলছাত্রীর কাছে হিরো সাজতে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারের ওপর হামলা করে আশরাফুল আহসান জিতু। গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কারওয়ান বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় গাজীপুরে অভিযান পরিচালনা করে আশরাফুল ইসলাম জিতুকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সাভারের শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি জিতু।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জিতু জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে ওই স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে ঘোরাফেরা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে শিক্ষক উৎপল তাকে প্রেষণা দেন। এই ঘটনায় সে তার শিক্ষকের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ও ওই ছাত্রীর নিকট নিজের হিরোইজম প্রদর্শন করার জন্য শিক্ষকের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ২৫ জুন একটি ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প স্কুলে নিয়ে আসে এবং তা শ্রেণিকক্ষের পেছনে লুকিয়ে রাখে ও তার শিক্ষককে আঘাত করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। পরে কলেজ মাঠে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে শিক্ষক উৎপল কুমারকে মাঠের এক কোণে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অতর্কিতভাবে আঘাত করতে থাকে। জিতু তার শিক্ষককে প্রথমে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে এবং পরে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে।
তিনি আরো বলেন, 'স্কুল থেকে তার বিভিন্ন সনদপত্র আমরা সংগ্রহ করেছি। সেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি তার বয়স ১৯ বছর। যেহেতু মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ১৬ বছর, সেই প্রেক্ষিতে আমরা তাকে উপস্থাপন করেছি।’
গত ২৫ জুন শনিবার দুপুরে চিত্রশাইলে হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ওই ছাত্র ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় শিক্ষক উৎপলের ওপর। প্রথমে ওই ছাত্র শিক্ষকের মাথায় আঘাত করে এবং পরে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এ ছাড়া স্ট্যাম্পের সূচালো অংশ দিয়ে পেটের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় উৎপলকে প্রথমে আশুলিয়া নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোরে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।