অক্টোবর ২৮, ২০২১, ১২:২৬ পিএম
হোটেলের কামরা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি আবাসিক হোটেল থেকে আদনান সাকিব (২৫) নামের ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের সাকিব আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানান, গতকাল (বুধবার, ২৭ অক্টোবর) রাতে সাকিবের স্ত্রী সাকিবের নিখোঁজের বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে সকিবের ফোন ট্র্যাক করে সেগুনবাগিচার কর্ণফুলী আবাসিক হোটেল লোকেশন পাওয়া যায়।
পরে, রাত দেড়টার দিকে হোটেলে গিয়ে রেজিস্ট্রার খাতায় তার নাম পাওয়া যায়। সেখানে ১০৭ নম্বর কামরাটি ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। হোটেলটির দ্বিতীয় তলায় ১০৭ নম্বর রুমে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করা হলেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় একপর্যায়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, ফ্যানের সাথে নাইলনের রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁসি লাগিয়ে ঝুলছে সে। তখন সেখান থেকে মৃতদেহ নামিয়ে মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা সাকিবের আত্মীয় ও বন্ধুদের সূত্রে আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে সমস্যায় ভুগছিল সাকিব। সবকিছুই ভুলে যেত। নানা কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল সে। গত পরশু (২৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর থেকে তার পরিবার তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিল না। ফোনে কল হলেও রিসিভ করছিল না সে। এজন্য গতকাল বুধবার রাতে থানায় জিডি করেন তারা।
পুলিশ আরো জানায়, কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলর রেজিস্ট্রেশনে দেখা যায় পরশু (২৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সে ওই আবাসিক হোটেলের ১০৭ নম্বর রুম ভাড়া নেন সাকিব।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা দিতে হোটেলে উঠেছে বলে জানিয়েছিল তাদের কাছে। তার রুমে পুলিশ একটি সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করেছে। যাতে তার মৃত্যুর জন্য কারো দোষ নেই বলে লিখে গেছে। প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা মনে হলেও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।