ডিসেম্বর ৯, ২০২১, ০৫:২৭ পিএম
৪ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে। চক্রটি তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে চক্রটি ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহৃতরা হলো, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
শিক্ষার্থীদের স্বজনরা জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম নামের দুই রোহিঙ্গাকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করছেন। অভিযুক্ত ২ জনই টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা এবং পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী।
এ বিষয়ে রামু থানায় করা সাধারণ ডায়েরি থেকে জানা যায়, পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না।
এদিকে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের বাড়ি রামু হলেও ঘটনাস্থল টেকনাফ। টেকনাফ থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চলছে।
এদিকে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবদুল আলিম বলেন, চার শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।