আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসও এর মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর এবং জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ১৯ বছরের আব্দুর রহমান উখিয়া উপজেলার হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে।
আহতরা হলেন, উখিয়ার হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে নুর মোহাম্মদ, সুলতান আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, রশিদ উল্লাহর ছেলে মো. শাফায়েত, দিল মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম এবং জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাল মিয়ার স্ত্রী নেসারা।
স্থানীয়দের বরাতে এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, বুধবার বিকেলে উখিয়ার হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর এবং জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা এবং আরএসও এর সন্ত্রাসীরা অতর্কিত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয়পক্ষ ২০/২৫টি গুলি ছোড়ে। এতে ছয়জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামতলীতে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একজনকে (আব্দুর রহমান) মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুতুপালংয়ের এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তারপরও ঘটনার কারণ জানতে পুলিশ খোঁজ-খবর নিচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।