মে ৩১, ২০২৪, ০৪:৫৮ এএম
ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর গত পাঁচ দিনে সুন্দরবন থেকে ৫৪টি হরিণ ও ২টি শূকরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভেসে যাওয়া ১৭টি আহত হরিণ উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো।
মিহির কুমার দো জানান, “রেমালের প্রভাবের সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এই জোয়ারের উচ্চতা ছিল ১০ থেকে ১২ ফুট। জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে চলে যাওয়ায় হরিণগুলো ভেসে গিয়ে সাঁতরে কূলে উঠতে না পারায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মতো সুন্দরবনের বন্য প্রাণীরাও প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেয়। পানি তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তারা নিয়মিত দিনে দুবার জোয়ার–ভাটা দেখে অভ্যস্ত। দুর্যোগের সময় যখন তীব্র ঝড় ও পানির উচ্চতা অনেক বেশি হয়, তখন হয়তো তাদের টিকে থাকা অনেক কষ্টকর, তবু তারা বছরের পর বছর বহু প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। এখন সুন্দরবনের শুধু সুরক্ষা দরকার। তাহলে যে ক্ষতি হয়েছে শিগগিরই উদ্ভিদ ও প্রাণীরা তা কাটিয়ে উঠতে পারবে।”