নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
সংগৃহীত ছবি
কবি নজরুল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে অন্তর্বর্তীসরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মনে করেন, একদিনে এতোগুলো ঘটনা কাকতালীয় না।
তিনি বলেন, সরকারের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে, সরকারের লক্ষ্য নষ্ট করতে একটা ষড়যন্ত্রতো আছে। দেশি-বিদেশি নানা ইন্ধনেরবিষয়ও আছে। কারা এসব বিষয়ে জড়িত তা তদন্তে কাজ চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংঘর্ষ মোকাবিলায় পুলিশের দুর্বলতা ছিল বলে স্বীকার করেছেন নাহিদ।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশের দুর্বলতা ছিল বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে, এটা তো আমরা স্বীকার করেছি।পুলিশকে সক্রিয় করতে পুলিশে রদবদল চলছে।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘মিথ্যা প্রচারণা করে ঢাকার বাইরে থেকে শাহবাগে মানুষ আনা হয়েছে। এর সংগঠককে পুলিশ হেফাজতেনেওয়া হয়েছে।’
কোনো গণমাধ্যমে হামলা চালানো হলে তা সরকার সহ্য করবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।তিনি বলেন, ‘কোনো মিডিয়ায় হামলার ঘটনা আবার ঘটলে, সহ্য করা হবে না। আমরা কোনো মিডিয়া বন্ধের পক্ষে নই।’
রোববার ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জেরে পুরান ঢাকার ন্যাশনালমেডিকেল কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজেরশিক্ষার্থীরা।
এর জেরে সোমবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায় ওই সাতকলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুপক্ষেরই অন্তত ৩৫ জন আহত হয়।
ঘোষণা দিয়ে এমন হামলার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজেহামলায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর নামে ভাঙচুর ও গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনচুরির অভিযোগে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুলআলমও উপস্থিত ছিলেন।
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আটকের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আটকের ব্যাপারে ডিএমপি আপনাদের জানাবে। আমরা জেনেছি তার নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা আছে।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনার পেছনে অন্য কোনো মটিভেশন আছে কি না, তাআমরা নিশ্চিত নই।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, কলেজের সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকেআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টার ফলেও সংঘর্ষ এড়ানো যায়নি। যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ভবিষ্যতেআর এ ধরনের ঘটনা সহ্য করা হবে না। কোনো মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘পুলিশে নতুন নিয়োগে কাজ চলছে। পরিবর্তন আনতে সময় প্রয়োজন। সবার প্রতি ধৈর্য ধরারআহ্বান থাকবে আমাদের।’
সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশ যখন আক্রান্ত হয় তখন তারা রাবারবুলেট ব্যবহার করেছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। কেন এ ঘটনা ঘটল, তা তদন্তের আগেবলা যাবে না।’