বেটা
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার মন্তব্যের জেরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর, এ এফ রহমান হল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে প্রতিবাদ জানায়।
মঙ্গলবার জোবরা গ্রামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বুকের ওপর। আমরা এই জায়গার মালিক, তাই অন্যায় কিছু মেনে নেব না। আমাদের সম্মান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, তবে আমরা জনগণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
সভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “ভুল বোঝাবুঝির কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত সন্ত্রাসীরা স্থানীয় নয়, বাইরে থেকে এসেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এলাকাবাসীর কাছে আহ্বান, যারাই করেছে তাদের ধরিয়ে দিন। সবাই মিলে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।”
সভায় জামায়াত নেতার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। একপর্যায়ে রাত দুইটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। এই সময় শিক্ষার্থীরা ‘চবি নিয়ে জমিদারি চলবে না, চলবে না’, ‘চাটুকাররা গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘সন্ত্রাসীদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোন ধরনের সংঘর্ষ বা পুলিশের হস্তক্ষেপের খবর পাওয়া যায়নি।
