বইমেলার স্টলে ‘হামলা’: দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ১২:০৪ পিএম

বইমেলার স্টলে ‘হামলা’: দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলার একটি স্টলে ‘হামলার’ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলছে, “এ ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ বাংলাদেশে নাগরিকের অধিকার এবং দেশের আইন উভয়ের প্রতিই অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।”

সোমবার রাতে সরকার প্রধানের দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশ এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে।

“মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং এই তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দেশে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।”

সোমবার একুশে বইমেলায় ‘তৌহিদী জনতা’ নাম দিয়ে একদল ব্যক্তি ‘সব্যসাচী প্রকাশনীর’ ওপর আক্রমণ করে। এ নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে উত্তেজনা তৈরি হলে ওই স্টলটি বন্ধ রাখা হয়। এরপর পুলিশ ওই প্রকাশককে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায়।

ওই প্রকাশনা সংস্থায় ভারতে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের কবিতার বই বিক্রির অভিযোগে চড়াও হয় কিছু লোকজন। এর আগে ওই প্রকাশনীর কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, “একুশে বইমেলা এদেশের লেখক ও পাঠকদের প্রাণের মেলা। এদেশের সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, চিন্তক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মিলনস্থল।

“বইমেলায় এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বাংলাদেশের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাকে ক্ষুণ্ন করে, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে।”

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি সেখানে বলেন, “কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করব। রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।” 

Link copied!