বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড

নারী-শিশুসহ মৃতের সংখ্যা ৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম

নারী-শিশুসহ মৃতের সংখ্যা ৪৪

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ মৃত্যুর সংখ্যা একজন বেড়ে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশ হাসপাতালে মৃত ব্যক্তি ভবনটিতে থাকা ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের’ হিসাবরক্ষক ছিলেন।

এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত চলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্রুত আসতে বললেন। এখানে এসে যা দেখলাম তা ভয়াবহ অবস্থা। বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছে তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছে কি না, এখনো তথ্য পাওয়া যায় নি।’

আরও পড়ুন : বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন

তিনি বলেন, ‘ঢামেক হাসপাতালে ১৪ জন ও বার্ন ইনস্টিটিউটে আহত ৮ জন চিকিৎসাধীন আছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।’

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।

তবে রাত দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিস ভবনটি থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের ১৩টি ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ করে। আমরা ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। ৪২ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছি এবং জীবিত অবস্থায় ৭৫ জনকে উদ্ধার করেছি।’

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটির একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আরও পড়ুন : গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে: ফায়ার সার্ভিস

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর তা উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়।

আগুন বাড়তে থাকলে আতঙ্কিত লোকজন উপরের দিকে উঠে যায়। এ সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। 

আগুন নেভানোর পাশাপাশি ভবনে আটকা পড়া ব্যক্তিদের মই দিয়ে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

সাত তলা ভবনটিতে স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ পোশাকের জনপ্রিয় দোকানও রয়েছে। 

Link copied!