আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সমগ্র বাংলাদেশ একটা পরিবারের মত উল্লেখ করে বলেছেন, “যেখানে সরকারের দায়িত্ব হলো সব নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আমরা দেশের সব নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সোমবার (২৬ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এই কথা বলেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “আমি এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে নির্ভয়ে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে ও যেখানে কোনও মন্দির পাহারার প্রয়োজন হবে না।”
সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনও বিভেদ থাকতে পারে না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সমানাধিকার রয়েছে।”
এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে হিন্দু নেতৃবৃন্দ জানান, তারা বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতি ও এর সমৃদ্ধি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করে শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন। হিন্দু নেতারা জানান, দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে দুর্গত এলাকাগুলোতে এবার জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করে সেখানে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সোমবার জন্মাষ্টমীর দিন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, “এই বক্তব্য দেশে আসম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।”
হিন্দু মন্দিরের জমিসহ হিন্দু জমি সম্পত্তি দখল হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে হিন্দু নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনীন্দ্র কুমার নাথ, আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ-ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্নধার প্রীতি চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী জনাষ্টমী হলো বিষ্ণুর অষ্টমাবতার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন।