খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তবে খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ৯ কোটি ৩৩ লাখ টনের মতো কৃষিপণ্য উৎপাদন করেছে। একই বছর বিশ্ববাজার থেকে প্রায় সোয়া কোটি টন খাদ্যপণ্য আমদানি করেছে।
খাদ্য আমদানি ব্যয়ের সবচেয়ে বড় অংশ দখল করে আছে গম, ভোজ্যতেল ও গুঁড়া দুধ।
বাংলাদেশে আমদানিনির্ভর খাদ্যপণ্যগুলোর দাম বেশি বলেও উল্লেখ করেছে এফএও।
সংস্থাটি বলছে, ভোজ্যতেল, মাংস ও দুধের মতো পুষ্টিকর খাদ্যগুলোর মাথাপিছু ভোগ সবচেয়ে কম। অর্থাৎ এসব পণ্য দেশের মানুষ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় কম খায়। অবশ্য দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য যেমন চাল, সবজি, মাছ ও ফলের মাথাপিছু ভোগের দিক থেকে বাংলাদেশের মানুষ ভালো অবস্থানে আছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষ মাথাপিছু খাদ্যশক্তি বা ক্যালরি গ্রহণের দিকে এগিয়ে রয়েছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে। আর বিশ্বের খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। আমদানির দিক থেকে শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন। দ্বিতীয় স্থানে ফিলিপাইন। আর খাদ্য রপ্তানির দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন ও ফ্রান্স। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে শেষের দিকে রয়েছে।
তবে বিশ্বের প্রধান ছয়টি খাদ্যপণ্যের মধ্যে বাংলাদেশ শুধু চাল উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে আছে। বাকি প্রধান কৃষিপণ্যগুলোর মধ্যে গম, ভুট্টা, চিনি, ভোজ্যতেল ও আলু উৎপাদনে বাংলাদেশের নাম শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে নেই। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ প্রথম চারটি পণ্য আমদানি করত। আলু আমদানির প্রয়োজন হতো না। বরং বাংলাদেশ আলু রপ্তানি করত। চলতি বছর আলুর দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের নাম আলু আমদানিকারক দেশের তালিকায় ঢুকেছে।