গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলায় বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৯, ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলায় বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ফের জোরালো হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এ হামলায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্তত চারশো জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

বুধবার, ১৯ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও উদ্বেগ জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন পুনরায় শুরুর তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ সরকার। এই হামলার ফলে শিশু ও নারীসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং এই অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। সহিংসতার এই নতুন মাত্রা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি গুরুতর অবজ্ঞার শামিল।’

এই হামলা ‘মানবিক দুর্ভোগ’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত নির্বিচার বিমান হামলার নিন্দা জানায়, যা মানবিক দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ, সর্বাধিক সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতাগুলোকে সম্মান করার আহ্বান জানাচ্ছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যে, তারা যেন যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে জরুরি ও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’  

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ পূর্ববর্তী সীমান্ত বরাবর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক, ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে সংলাপ পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য একটি ভিত্তিপ্রস্তর। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ক্রমাগত চলমান এই সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ উপায়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।’

আন্তর্জাতিক আইনের নীতি, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফিলিস্তিনি প্রশ্নের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

Link copied!