জুলাই ৮, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
লোহিত সাগরে হামলা বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ জাতিসংঘের রেজল্যুশনকে স্বাগত জানায় বলে জানিয়েছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিনগুয়েজের দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে আইএমওর নির্বাহী পরিষদের একজন নির্বাচিত সদস্য হিসেবে ১৩২তম আইএমও কাউন্সিলে ভাষণ দেওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সম্মানের। ২০২৩ সালের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে আমাদেরকে এই সম্মানিত কাউন্সিলে ফিরিয়ে আনতে যেসব সদস্য রাষ্ট্র আমাদের সমর্থন করেছিল বাংলাদেশ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
সোমবার (৮ জুলাই) লন্ডনে আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার (আইএমও) সদর দপ্তরে আইএমওর ১৩২তম কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতা এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় অন্যদের মধ্যে আইএমওতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, “ক্রমাগত হুমকি ও লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর আক্রমণ, সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট, নাবিকদের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশ বাহামাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কারণ আমাদের চিন্তাভাবনা ও প্রার্থনা এমভি গ্যালাক্সি লিডারের সমুদ্রযাত্রীদের সঙ্গে তাদের অবিলম্বে ও নিরাপদ মুক্তির জন্য। সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৭২২ রেজুলেশনকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।”
কাউন্সিলের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ আইএমওর মিশন, দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশলগত দিকনির্দেশনা এবং এই কাউন্সিলের অগ্রাধিকার বাস্তবায়নের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক শিপিংয়ে জলদস্যুদের আক্রমণ ও নিরীহ নাবিকদের জিম্মি করার বিরুদ্ধে অব্যাহত সচেতনতার জন্য বাংলাদেশ আইএম ও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগুয়েজের কৃতজ্ঞ। এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বহুজাতিক নৌবাহিনী ও এমভি আবদুল্লাহ এবং এর ক্রুদের সঙ্গে সংহতির জন্য আইএমও সদস্যদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।”
গত মে মাসে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিঙ্গুয়েজের বাংলাদেশে অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক সফরের কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ওই সময় আমরা আমাদের দেশের দ্রুত রূপান্তরিত সামুদ্রিক ও ব্লু অর্থনীতির ল্যান্ডস্কেপ আমাদের স্বপ্নদর্শী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেরিটাইম ভিশন শেয়ার করতে পেরে আনন্দিত হয়েছিলাম। যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেছিলেন।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ, এসআইডি ও ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথের আগ্রহ ও উদ্বেগের কথা বলার জন্য এই কাউন্সিলের কাছে তার নির্বাচনী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে, বিশেষ করে আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি ও অবকাঠামোতে বৃহত্তর বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা জরুরি। হংকং কনভেনশন অনুযায়ী বিকল্প ও সবুজ জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ পুনর্ব্যবহারে আমাদের ন্যায্য রূপান্তরে অবকাঠামো ও সাশ্রয়ী মূল্যের প্রযুক্তি স্থানান্তর প্রয়োজন।”