তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান আর বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান এবং আজকে বিএনপি মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এত বেদনাবিধূর দিন আর কখনো আসেনি।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসেনকে যখন জবাই করে হত্যা করা হয়, তখনও নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ঘাতকেরা রেহাই দেয়নি।
‘আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত, হত্যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন’ বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনো সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। দেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু রাখতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’