সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ‘অতিমাত্রায় আনুগত্য’ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ‘বিতর্কিত’ ভূমিকার অভিযোগ এনে সংবাদমাধ্যমে নেতৃস্থানীয় পদে থাকা আরো ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে সরকার।
মঙ্গলবার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর ২০ জনের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়েছিলো।
আদেশে বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালার আলোকে এসব সাংবাদিকের অনুকূলে তথ্য অধিদফতরের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকরা হলেন- টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ২৪-এর হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান নুরুল আমিন প্রভাষ (প্রভাষ আমিন), দৈনিক ডেসটিনির উপ-সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সময় টিভির সিইও আহমেদ জোবায়ের, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, নিউজ২৪-এর সিনিয়র রিপোর্টার জয়দেব চন্দ্র দাস, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দীপ আজাদ, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জহিরুল ইসলাম মামুন (জ. ই. মামুন), বাসসের উপপ্রধান বার্তা সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হায়দার আলী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, দৈনিক পূর্বকোণের ঢাকা ব্যুরো প্রধান কুদ্দুস আফ্রাদ, বৈশাখী টিভির প্রধান সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন নাহার মুন্নী, ফ্রিল্যান্সার নাদীম কাদির, বাসসের নগর সম্পাদক মধুসূদন মণ্ডল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিস ঘোষ সৈকত (আশিস সৈকত), দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জাফরউল্লাহ শরাফত, দৈনিক আনন্দ বাজারের বিশেষ প্রতিনিধি কিশোর কুমার সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার (অখিল পোদ্দার), গাজী টিভির এডিটর রিসার্চ অঞ্জন রায়, দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।