ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন, সে অনুযায়ী নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা জানান। বলেন, তার কমিশন দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে। সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি দরকার, তাঁরা তা এগিয়ে নিচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা গতকাল ভাষণে যে ইন্ডিকেশনস দিয়েছেন, আমরা ফুললি অ্যালাইন্ড। উনার (প্রধান উপদেষ্টা) বক্তব্য অনুযায়ী, আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হবে, আমরা এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। উনি যখনই চান...।’
গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। এই ভাষণে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আজ সিইসি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। অতীতের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়, কোনো প্রার্থীকে জেতানোর জন্য বা কাউকে হারানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো সীমানা পুনর্নির্ধারণ হয়ে থাকে, কমিশন সেটা দেখবে।
বিদ্যমান ভোটার তালিকায় নির্বাচন হবে, নাকি নতুন ভোটার তালিকা করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, দুই মাস পর ইসির হাতে একটি নতুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আসবে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। অনেকে মারা গেছেন। অনেকে বাদ পড়েছেন। অনেক বিদেশি ভোটার হয়েছেন। ভোটারের ডুপ্লিকেশন হয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে।