সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রতিটি হত্যার বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এখনও যারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য দেশকে ধ্বংস করা, দেশের অর্থনীতিকে আরও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া। বিএনপি-জামাত বাম উগ্র গোষ্ঠী, দেশী-বিদেশি কুচক্রী মহল এখনও সক্রিয় আছে। বিএনপির জামাতের সশস্ত্র ক্যাডাররা আবারও হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান যেখানেই আক্রমণকারী দেখবেন সে খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন।”
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায় বিএনপি জামাত ও তাদের দোসরদের। এ দায় থেকে মুক্তি পেতে তারা আন্তর্জাতিক তদন্ত চাইছে।”
মির্জা ফখরুল থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছে। তারা দেশ এবং দেশের মানুষের উপর আস্থা করে না। এবারও তাদের সে সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় এ দায় থেকে মুক্তি পেতে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ চাইছে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিএনপি-জামাতের নাশকতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকার হটানোর অপচেষ্টা সফল হতে দিতে পারি না। এই অশুভ চক্রান্ত ব্যর্থ হবে ইনশাল্লাহ।”
আমরা কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কামনা করি না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি হত্যার বিচার হবে। যারা সহিংসতায় জড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হবে। আন্দোলন কে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা দেশের মানুষ মেনে নিবে না। অচিরেই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আহমাদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।