সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে একটি মহল কয়েকটি মিডিয়া আউটলেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্রাক্টসের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কয়েকটি মিডিয়া আউটলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মহল সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা আমাদের নজরে এসেছে। এসব খবর ও পোস্ট বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ কোনো বিদেশি দেশ কিংবা বিদেশি অথবা স্থানীয় কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা বাংলাদেশ সরকারের নেই।
‘সেন্টমার্টিনের বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণের জন্য সম্প্রতি দ্বীপটিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেন্টমার্টিন একটি ভঙ্গুর প্রবাল দ্বীপ, যা পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও বসবাসের কারণে পরিবেশগত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেন্টমার্টিনের বিরল উদ্ভিদ, প্রাণীজগত ও জলজ জীবন সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নভেম্বরে সেখানে পর্যটকরা যেতে পারলেও রাতে থাকতে পারবেন না। দুই হাজারের বেশি পর্যটক যেতে পারবেন না ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দিনে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে। তখন সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পরিবেশবান্ধব সেন্টমার্টিন গড়ার চিন্তা থেকে। এছাড়া একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেন্টমার্টিনে।