‘বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা মানুষের নেই, প্রাকৃতিক দুর্যোগের অংশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৯, ২০২৩, ০৯:২১ পিএম

‘বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা মানুষের নেই, প্রাকৃতিক দুর্যোগের অংশ’

ফাইল ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, দেশে যে বন্যা  হয়েছে সেটাকে আমরা ফ্ল্যাশ ফ্লাড বলি৷ এটা আসলে মানুষের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই৷ এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটা অংশ৷”

বুধবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন৷

প্রতিমন্ত্রী  বলেন, অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে যাওয়ার নদীর যে ধারণক্ষমতা সেটা অনুযায়ী পানি বেশি ছিল৷ সে কারণে দুই কূল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে৷ এর একমাত্র উপায় নদী ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করা৷

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাব।‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) প্রতিনিধিরা আসবেন৷ তারা আমাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপ করবেন৷  সে কারণে আমরা শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে প্রথমে চট্রগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগড়া, এরপর কক্সবাজারের চকোরিয়া পেকুয়ায় পরিদর্শনে যাব।

এসময় তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে বান্দরবানের রুমা উপজেলা পরিদর্শনে যাব৷ সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হয়েছে৷

তিনি বলেন, ‘এ পরিদর্শন টিমে আমি, আমার সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক যাবেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ আরও কর্মকর্তারা যাবেন৷

সোমবার (৭ আগস্ট) আমরা চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, বান্দরবন ও রাঙামাটিতে ১০ লাখ টাকা ১০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা মোট ৭০ লাখ টাকা, ২১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৭০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি৷ একইসঙ্গে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং বিশুদ্ধ পানিও পাঠিয়েছি৷ জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তারা যেন নগদ অর্থে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেন৷’

গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে পানি কমে যাচ্ছে৷ সেহেতু নতুন করে ঝুঁকির কিছুই নাই৷ এ পর্যন্ত কক্সবাজারের দুটি উপজেলা, বান্দরবানের দুটি উপজেলা ও খাগড়াছড়ির শহরতলীর কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে৷’

তিনি আরও বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আমাদের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে৷ ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও নৌ বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ হচ্ছে৷ পুলিশ সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে থেকে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি৷ আপনারা আসার কিছুক্ষণ আগেও প্রধানমন্ত্রী কল করেছিলেন৷ তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন৷

ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প করার চিন্তা-ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজকেও প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার ঘর দিয়েছেন৷ যারা ভূমিহীন ও ঘরহীন রয়েছেন তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে৷

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষয়-ক্ষতির হিসাবটা পাওয়ার পর আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি সভা ডাকব৷ সেখানে আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ রাখব মাতামহুরি, সাঙ্গু ও হালদা নদী খনন করার৷

Link copied!