উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেট জেলার ৫ উপজেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের জন্য খোলা হয়েছে ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র।
এ দিকে সিলেট নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নগরীর তালতলা, কাজিরবাজার, উপশহর, সোবহানীঘাট, মাছিমপুর, মেন্দিবাগ, আলমপুর এলাকায় ঢুকছে বন্যার পানি।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মাসে সিলেটে দ্বিগুণেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বছরের মে মাসে সিলেটে ৩৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। এবার মে মাসে বৃষ্টি হয়েছে ৭০৫ মিলিমিটার।
এ বিষয়ে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, “সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও গোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে।”
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, “অনেক এলাকার পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে ও নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় জরুরি ভিত্তিতে ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় ১ হাজার বস্তা শুকনো খাবার, ৭৫ টন চাল ও আড়াই লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।”