আমি আর নির্বাচন করবো না, কেন করবো না তা পরে জানাচ্ছি : হিরো আলম

জাতীয় ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৬:৫৮ পিএম

আমি আর নির্বাচন করবো না, কেন করবো না  তা পরে জানাচ্ছি : হিরো আলম

ছবি: সংগৃহীত

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা বাতিল এবং আপিলে জিতে ফের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াসহ নানা ঘটনার পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ফেইসবুকেও একটি পোস্ট দিয়ে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত জানান হিরো আলম।

বগুড়া- ৪ ( কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসন থেকে তিনি ভোটের টিকেট পেয়েছেন। সব বাধা ডিঙিয়ে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার প্রত্যয় জানিয়েছেন বারবার। কিন্তু প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর তিন দিনের মাথায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন।

প্রার্থী থেকে হঠাৎ সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত তিনি কেন নিলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, “মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনেকগুলো কারণ আছে। আমি যেহেতু ভোটারদের আশ্বাসে এমপি প্রার্থী হয়েছিলাম, সেহেতু ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সুস্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে আমাকে। আমি আগামী ১৭ তারিখ সেই কারণ বাখ্যা করে জানাব।”

ভয়ভীতি বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কেন প্রত্যাহার করব তা ওইদিনই গণমাধ্যমে জানাব। আপাতত ধরে নিন নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি।”

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর হলফনামাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করাসহ নানা ত্রুটির কারণে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

পরে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফেরতের আপিল মঞ্জুর করে তার পক্ষে রায় দেয় নির্বাচন কমিশন।

দলীয় প্রার্থী হলেও এই ইউটিউবার মনোনয়নপত্র পূরণ করেন স্বতন্ত্র হিসেবে। রাজনৈতিক দলের ঘরে লেখেন ‘প্রযোজ্য নহে’। দলীয় মনোনয়নের মূল কপি তিনি জমা দেননি, দিয়েছেন ফটোকপি।    

আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ভোটার তালিকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের তথ্য জমা দিতে হয়, সেটাও দেননি হিরো আলম। হলফনামার সাথে সম্পদের আয়-ব্যয় বিবরণী তিনি জমা দেননি। এ ছাড়া তার হলফনামা নোটারি করা থাকলেও সেখানে স্বাক্ষর করেননি।

এরপর রবিবার ইসির আপিল শুনানিতে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার প্রত্যয়ের কথা শোনান হিরো আলম। ভোট সুষ্ঠু হলে জয়ের আশাও প্রকাশ করেন।

হিরো আলম বলেছিলেন, “আমার শুধু সই ছিল না। আমি জোর গলায় বলেছিলাম ইসি থেকে প্রার্থিতা ফিরে পাব। শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। ইসিকে ধন্যবাদ। ডাব মার্কা প্রতীকে ভোট করব। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয়ী হব আশা করি। আগে কোনো দলে যোগ দিইনি। এবারই বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হলাম।”

হিরো আলম ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং এ বছরের শুরুতে বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন। সবশেষ তিনি অংশ নেন ঢাকা-১৭ আসনের উপ নির্বাচনে।

 

Link copied!