জুলাই ২৪, ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
কোটা আন্দোলনের নামে ঢাকা মহানগরীতে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতা হয়েছে উল্লেখ করে এসব ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বুধবার (২৪ জুলাই) মহাখালীতে সেতু ভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, “আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে কে কীভাবে আগুন লাগায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত অনেকের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের পরিচয়- জজ মিয়া ও মো. রাকিব (২২)। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মহাখালী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। মনোবল ভেঙে দিতে পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও আহত করা হয়েছে। মহাখালীতে তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। হামলার রসদ সরবরাহের তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে।
তিনি আরও বলেন, “মহাখালীর সেতু ভবনে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কিছু নেতা টাকা-পয়সা দিয়ে সাততলা বস্তি ও কুড়িল বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সংগ্রহ করেছে। এরপর মহাখালীতে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল শুরু করে। পরবর্তীতে তারা সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নি সংযোগ করে ও লুটপাট চালায়।”
ডিবিপ্রধান যোগ করেন, “আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে তারা কীভাবে অগ্নি সংযোগ করে ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত অনেকের নাম-পরিচয় পেয়েছি।”
হারুন অর রশীদ বলেন, “গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ৭ নেতাকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- ঢাকা উত্তর যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা বরকতুল্লা বুলুর ছেলে সানিয়াত বুলু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন খোকন ওরফে কাইল্লা খোকন, কৃষকদলের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান দয়াল, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল উদ্দিন ও ভাটারা থানার আমির রেজাউল করিম।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। পুলিশকে হত্যা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মহাখালীর ডাটা সেন্টার, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং সর্বোপরি আমাদের গর্বের মেট্রোরেলে হামলা করেছে। সব জায়গায় গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা ‘৭১’র মতো পুরনো দিনে ফিরে গেছে। তারা চেয়েছিল সরকার উৎখাত। আমরা সবার নাম-পরিচয় পেয়েছি। তারা কীভাবে কার মাধ্যমে গান পাউডার ও অস্ত্র এনেছে বের করা হবে।”