ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ১১:৫০ এএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন ভালো হয়েছে কি খারাপ- সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আরএফইডির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনটা ভালো হয়েছে কী খারাপ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচনার বিষয় নয়। সামনে আরও অনেকগুলো নির্বাচন আছে, উপ-নির্বাচন আছে, সেগুলোকেও খাটো দেখার অবকাশ নেই। তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব গড়ে তোলার যে দায়িত্ব, সেখানে নেতৃত্ব যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়েও নেতৃত্ব শক্তিশালী হবে না। তৃণমূলের সংস্থাগুলোয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে। সেখানেও গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। সেখানে গণতন্ত্র কতটা কাজ করছে, কতটা কাজ করছে না, এগুলো তুলে আনতে হবে।
তিনি বলেন, বস্তনিষ্ঠতা, এটা খুবই কাম্য। আরেকটা হচ্ছে অতিরঞ্জিত, এটাকে আমি মন্দভাবে দেখি না। অতিরঞ্জনের মধ্যে সাহিত্যের উপাদান থাকে, কিন্তু বিকৃত হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। মিস ইনফরমেশন, অতিরঞ্জন হতে পারে। কিন্তু বিকৃত হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। জনগণকে সচেতন করতে কমিশন কতটা দায়িত্ব পালন করেছে। সরকার কতটা সহায়তা করছে কী করছে না, এগুলো প্রচার হলে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনকে যাতে আরও স্বচ্ছ, উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন। ভরতে তিন মাস ধরে নির্বাচন হয়। আমাদের এখানে যদি তিনটা পর্বে সেটা করা যায় তাহলে আরও সহজ ও সুষ্ঠু হবে। একই জেলার মধ্যে হওয়ার কারণে প্রশাসনের জন্য এটা সহজ হয়ে যাবে। ভোটার আসছে কি না, সহিংসতার সম্ভাবনা আছে কি-না, এমন বিষয় পর্যালোচনা করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। উপজেলায় এটা প্রয়োগ হচ্ছে। এটার বেশ কিছু ইতিবাচক দিক আমরা দেখতে পাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকলে এটারও ভালো দিক আছে। এটা তো জাতির জন্য নয়, এলাকার জন্য। স্থানীয় সরকার ছোট একটা এলাকায় পরিচালিত হয়, সীমিত ক্ষমতা নিয়ে। পাকিস্তানেও বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে একটা অংশগ্রহণমূল নির্বাচন হয়েছে। দলীয় প্রতীক হোক কিংবা না হোক আমরা চাই সুন্দর নির্বাচন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য ফোনে কথা বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি। তারা আহ্বানে সাড়া দেয়নি। আমরা নির্দ্বিধায় বলেছি, তারা যদি নির্বাচনে অংশ নিতেন তাহলে সেটি অনেক বেশি অংগ্রহণমূলক হতো, ভোটার উপস্থিতিও বেশি হতো। নির্বাচনটা সার্বজনীন হোক। বড় বড় দল অংশ না দিলে নির্বাচন অবৈধ হবে না। তবে নির্বাচনের ন্যায্যতা, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হবে। আমরা যদি সঠিক সমন্বয় ঘটাতে পারি নির্বাচন আরও সুন্দর হবে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় এটা আদায় করে নিতে হয়। স্বাধীনতা সব সময় থাকবে না। তবে স্বাধীনভাবে কাজ করলেও সব সময় চাপ আসবে তা নয়। গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নত বিশ্বে শাসকদের ঠিক জায়গায় রাখতে গণমাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। গঠনমূলক সামালোচনা করার করার কথাও বলেন।