জামায়াত নেতা এটিএম আজহার কারামুক্ত হলেন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২৮, ২০২৫, ১১:৩৬ এএম

জামায়াত নেতা এটিএম আজহার কারামুক্ত হলেন

ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার, ২৮ মে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি মুক্তি পান।

ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) মো. জাহাঙ্গীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজহারুল বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে আজ সকালে মুক্তি দেওয়া হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুরাইয়া আক্তার বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আজহারুল খালাস পান। এ-সংক্রান্ত নথি গতকাল রাতে তাদের কাছে আসে। নথি যাচাইবাছাই শেষে আজ সকালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আজহারুলের আপিল মঞ্জুর করে অভিযোগ থেকে গতকাল তাকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আজহারুলের করা আপিল সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, আপিলকারীকে (আজহারুল) সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হলো। অন্য কোনো মামলা বা আইনি কার্যধারা না থাকলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।

আজ সকালে আজহারুল কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছিলেন।

দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। এই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল।

এই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লিভ মঞ্জুর করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়। পরে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দেওয়া হয়। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল তাকে খালাস দিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ।

Link copied!