মার্চ ২০, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
লক্কড়-ঝক্কড় বাস বন্ধ করলে সাংবাদিকরাই সবার আগে বিক্ষোভ দেখাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২০ মার্চ) কারওয়ান বাজারে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের র্যাম্প উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
উপস্থিত সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারাই বলবেন, জনগণ অপেক্ষা করে আছে, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ- গাড়ি নেই, গণপরিবহন নেই। এই অভিযোগ আপনারাই দিতে থাকবেন।’
সরকারের গাফলতি আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারের গাফলতির কী আছে? আমি কি গাড়ি রঙ করবো নাকি? এটা তো নতুন নির্মাণ করিনি আমি। এটা তো আগেই হয়ে আছে। আমাদের তো শাঁখের করাতের মতো। এটা করলেও দোষ, ওটা করলেও দোষ। এসব গাড়ি আমরা বন্ধ করে দিতে পারি। এরপর ঢাকা শহরে তো রিপ্লেসমেন্ট নেই।’
রিপ্লেসমেন্ট হওয়ার আগে আমি গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে কী লাভ হবে- সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, ‘এসব গাড়ি তো বন্ধ করতে পারি, চেষ্টাও করেছি, তখন আপনাদের মধ্য থেকে প্রতিবাদ এসেছে যে, জনগণকে কষ্ট দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
আপনি ১২-১৩ বছর ধরে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন, এটা কি কম সময়? এই সময়ে রিপ্লেস করতে পারতেন না?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সময়ে পদ্মা সেতুটা হয়ে গেছে, এই সময় এলিভেটেড এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট হয়ে গেছে। এই সময় মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মতিঝিল চলে এসেছে। ১২ বছর কম সময়! ১২ বছরে কি আমরা কম কাজ করেছি?’
একই সময় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র্যাম্প খুলে দেওয়ার বিষয়টি সামনে এনে তিনি আরও বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আজকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি রাজধানীবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি।’