চট্টগ্রামে আলোচিত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১৫ জনকে।
শনিবার, ৩০ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেছেন সাইফুল ইসলাম আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন—নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিহত সাইফুলের ভাই খানে আলম আরেকটি মামলা করেছেন। এ মামলায় ১১৬ জনের নামোল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৪০০-৫০০ জনকে। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার পর হাজারের বেশি অনুসারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ, সোয়াট, বিজিবি লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনজীবীদের গাড়ি ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে মিছিল বের করেন কিছু আইনজীবী। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সাইফুলকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।