আগস্ট ১৬, ২০২৩, ১০:১৬ পিএম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আট দেশের সামরিক উপদেষ্টা।
বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
সামরিক উপদেষ্টারা হলেন- অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স অ্যাটাচে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জন ডেম্পসি, চীনের ডিফেন্স অ্যাটাচে সিনিয়র কর্নেল ডু জিনশেং ও সহযোগী ডিফেন্স অ্যাটাচে কর্নেল কিউ হাইমো, ভারতের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার মনমিত সিং সবরওয়াল, সহযোগী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা স্কোয়াড্রন লিডার অভুতোষ শর্মা, নেপালের মিলিটারি অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোশন শুমশের রানা, রাশিয়ার সামরিক বিমান ও নৌ-অ্যাটাচে কর্নেল সের্গেই ভিক্টোরোভিচ নাইদেনভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিফেন্স অফিসার ও ডিফেন্স অ্যাটাচে লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিকোলাস এনজি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার, স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য এসেছি। আমার সঙ্গে বাংলাদেশে কর্মরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিলিটারি অ্যাটাচে, নেভাল অ্যাটাচে এবং সামরিক অ্যাটাচে যারা আছে, তারা এসেছেন।
হামিদুল হক বলেন, জাতির পিতার প্রতি যে শ্রদ্ধা সারা বিশ্বে বর্তমানে রয়েছে, সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের ডিফেন্স অ্যাটাচে কর্মরত আছেন, তারা আজকে এখানে এসেছেন।
হামিদুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, বাংলাদেশের অভ্যুদয় সারা বিশ্বের জন্য একটি বিস্ময়। বাংলাদেশ যে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে, সেটার প্রতি সবার যে অসম্ভব শ্রদ্ধা এবং সম্মানবোধ রয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ করার জন্য এখানে এসেছে।
ডিজিএফআই প্রধানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ধানমন্ডি ৩২ এর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন বিদেশি এসব ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা। তারা ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিময় এ বাড়িটির বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে যে হত্যা করা হয়েছিল তার ক্ষতচিহ্ন এবং বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনী অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পরিদর্শন করেন। এরপর তারা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।