নিখোঁজের ৬ দিন পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার সহকারী মাস্টার মো. হুমায়ুন কবিরের (৩৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৪টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বাহাদুরপুর এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বাহাদুরপুর এলাকায় চলাচলকারী বাল্কহেড চালকরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিসি) ফোন দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্পিডবোট নিয়ে পরিদর্শনে যান। এরপর মরদেহের ছবি তুলে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হলে তারা রজনীগন্ধার সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবিরের মরদেহ শনাক্ত করেন।
আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘নিহতের মরদেহ পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে তা বুঝিয়ে দেয়া হবে।’
পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ছোট-বড় ৯টি যানবাহন এবং চালক-হেলপারসহ ২১ জন ব্যক্তিকে নিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ফেরিটির সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবির নিখোঁজ হন।