এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ০৫:২৪ এএম
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে ২২ এপ্রিল। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জন নাবিক সেখান থেকে ওই জাহাজে করেই বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি দুজন বিমানে আসবেন বাংলাদেশে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম।
তিনি বলেন, ‘এখন জাহাজটি দস্যুদের এলাকার বাইরে সেফ জোনে চলে গেছে। যে গতিতে চলছে তাতে আগামী ২২ এপ্রিল দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান ৫৫ টন কয়লা খালাস করা হবে।’
মেহেরুল করিম বলেন, ‘গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ। ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় ২০ মার্চ দুপুরে দস্যুরা যোগাযোগ করে জাহাজ মালিকের সঙ্গে। দস্যুদের পক্ষে ইংরেজি জানা এক ব্যক্তি যোগাযোগ করেছিল।’
তিনি জানান, এরপর দস্যুদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চলতে থাকে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দস্যুদের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতা বা চুক্তি হয়। চুক্তিতে তৃতীয় কোনো পক্ষ ছিল না। সরাসরি সমঝোতা হয়েছে। দস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে কী পরিমাণ এবং কীভাবে মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে, তা জানানো সম্ভব নয়। কারণ জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশের আইন মানা হয়েছে। যা হয়েছে সবই আইন মেনেই করা হয়েছে।’
এর আগে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হন। সোমালিয়ান জলদস্যুরা মুক্তিপণ পেয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এরপর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দীর্ঘ এক মাস নাবিকরা দস্যুদের কাছে জিম্মি ছিলেন।