টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে।
টাইম ম্যাগাজিন উপদেষ্টা নাহিদ সম্পর্কে লিখেছে, ‘আন্দোলনের অনেক নেতার মধ্যে নাহিদ অন্যতম। বাংলাদেশের সমালোচিত গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে জনমানুষের কাছে তার পরিচিতি আরও বাড়তে থাকে।
এতে বলা হয়, নাহিদ ইসলাম, মাত্র ২৬ বছরেরও কম বয়সী বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তিনি। সমাজবিজ্ঞানের এই স্নাতক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ, যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু করেছিল। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর তিনি আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এক স্বৈরাচারের।
ম্যাগাজিনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতার মধ্যে নাহিদ অন্যতম, বাংলাদেশের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে জনমানুষের কাছে তার পরিচিতি আরো বাড়তে থাকে। সেই নাহিদই ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে লাখো জনতার সমাবেশে আন্দোলনকারীদের হয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।
টাইমকে নাহিদ বলেন, কেউ ভাবতেও পারেনি তাকে (হাসিনাকে) উৎখাত করা সম্ভব হবে। কিন্তু তাই করে দেখায় মুক্তিকামী জনতা, দেশব্যাপী তীব্র বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা।
তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোই এখন সামনে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে জেন জি’র দুই উপদেষ্টার একজন নাহিদ ইসলাম আর অন্যজন হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
টাইম বলেছে, ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়েছে, এখন তাকে মেরামতের চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে নতুন সরকারকে।
এ বিষয়ে নাহিদ বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম- অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।