আগস্ট ১২, ২০২৪, ০১:০০ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষাবলম্বনকারী বিভিন্ন স্টার্টআপের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দ্রুত তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ও কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (১২ আগস্ট) সাকলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি আশ্বাস দেন, “খুবই স্বৈরতান্ত্রিকভাবে কাজটা করা হয়েছিল। আমরা এর নিন্দা জানিয়েছি। দ্রুত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে এবং আবারও তাদের সঙ্গে কাজ করার যে প্রক্রিয়া ছিল সেটা চালু করা হবে।”
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, “সার্বিকভাবে কাঠামোগত সংস্কারের কথা আমরা বলছি; সব মন্ত্রণালয়েই যাতে এটা করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সরকারের জায়গা থেকে ভাবছি, বিদেশে বাংলাদেশি যেসব তরুণরা পড়াশোনা করছে, দক্ষতা অর্জন করেছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে, দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা।”
গত ১৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানানোর কারণে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ হারায় অনলাইন পড়াশোনাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’। বিষয়টি নিয়ে এই উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আন্দোলনের পক্ষে থাকার কারণে কেউ যদি বঞ্চিত হয়ে থাকেন, অবশ্যই তাদের প্রতি সুবিচার করা হবে। তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে।”
‘সাইবার আইনের বিতর্কিত ধারা পুনর্বিবেচনা করা হবে’
সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেন, “আমি বলেছি, সাইবার নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, সেগুলো আমাদের পুনর্বিবেচনা করতে হবে ও তরুণদের ব্যাপকভাবে এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। দেশে ও দেশের বাইরে আইটিতে যারা দক্ষ ও নতুন ধরনের কাজ করতে আগ্রহী, তাদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠনের কথা ভাবছি।”
ইন্টারনেট বন্ধ তদন্ত কমিটি সংক্রান্ত প্রশ্নে নাহিদের জবাব
উপস্থিত এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে আপনি একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। এর সঙ্গে যদি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা কোনও সংস্থার প্রধান জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা বা কোনও পদক্ষেপ নেবেন? জবাবে নাহিদ বলেন, “অবশ্যই আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো।”
এই উপদেষ্টা বলেন, “আবার যদি বিস্তারিত তদন্ত করতে হয়, সেটা করা হবে। এক্ষেত্রে সরকার, মন্ত্রী বা অন্য কোনও সংস্থার লোক যুক্ত হয়, অবশ্যই তাদের বিচার করা হবে। এটা মানুষের মানবাধিকারের বিষয়। যারা বন্ধ করে দিয়েছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং বন্ধ করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এই প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বিচার করা হবে।”