আগস্ট ১৭, ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে। একইসঙ্গে নতুন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শপথ নেওয়া নতুন উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনঃবন্টন করে এম সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন ভয়েস অব আমেরিকাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এতে মন খারাপের কিছু নেই। আলহামদুলিল্লাহ, আমার যতটুকু করার সাধ্য ছিলো, করে আসছি। দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে চলে যাব।”
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং আরও ১৩ উপদেষ্টার সঙ্গে শপথ নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হওয়ার পর গত ১২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এম সাখাওয়াত হোসেন। ওইদিন আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়া আওয়ামী লীগকে গন্ডগোল না করে নতুন মুখ নিয়ে দল গোছানো পরামর্শ দেন তিনি।
দেশের জন্য আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এটা অনেক বড় পার্টি। আই হ্যাভ লট অব রেসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। একসময় বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি। বায়ান্ন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অবদান ব্যক্তিগত কোনও কারণে নষ্ট করবেন না। এটা জাতীয় সম্পদ। আওয়ামী লীগকে বলব এমন কিছু করবেন না যাতে জীবন বিপন্ন হয়। আপনারা রাজনৈতিক দল হিসেবে দল গুছিয়ে নিন। নির্বাচন হলে অংশ নিন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন। তবে প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখলে হাজার-হাজার মানুষের রক্ত ঝরবে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এসব বক্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ওই রাতেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাপে পড়েন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন। তাকে সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়ারও গুঞ্জন ওঠে। এসবের জেরেই শুক্রবার তাকে স্বরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।