আগস্ট ১৬, ২০২৩, ১১:২৯ পিএম
দেশকে অস্থিতিশীল করতে অতীতে জঙ্গিবাদে জড়িতরা নতুন করে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তারা দল ভারী করতে নতুন সদস্য সংগ্রহ করছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, গত কয়েক বছর জঙ্গিরা নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও দেশকে অস্থিরতা করার চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হচ্ছে। জঙ্গি দমনে র্যাবের তৎপরতা আছে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, র্যাবের মূল ম্যান্ডেট জঙ্গি নিয়ে কাজ করা। এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৯টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”নতুন করে তৎপর হওয়া জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের ধরতে র্যাবের গোয়েন্দারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) প্রসঙ্গ টেনে কমান্ডার বলেন, আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা করেছে জেএমবি, পরে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি)। এ সংগঠনগুলোর তৎপরতা আগের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। গত বছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতি করার সময় গ্রেফতার করা হয়। জেএমবি বা হুজির মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল।”
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “ এই পুরোনো সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর, জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করতে চান, তারা একসঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন করছেন। সম্প্রতি নিষিদ্ধ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ায় তারা যুক্ত ছিলেন। এ সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এ সংগঠনের আমিরসহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।” সংগঠনটি আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বলেও তিনি জানান।