-20240811171305.jpeg)
ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের দাবিতে কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে তারা কাজে যোগ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতির পর রোববার (১১ আগস্ট) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে পুলিশ সদস্যরা ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা হলে আবার আগের কর্মসূচিতে ফিরে যাবেন তারা।
এ বিষয়ে দাবি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।”
পুলিশ সদস্যদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
- আজীবন পেনশন ও রেশন প্রাপ্তি;
- আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা এবং গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।
- পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট নিয়োগ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
- সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান পদোন্নতিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা।
- সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট থেকে ইন্সপেক্টর পদে পিএল হওয়ার এক বছরের মধ্যে পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
- কনস্টেবল, নায়েক, এটিএসআই, এএসআই পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাসকৃতদের পরবর্তী বছর পুনঃপরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা বাতিল এবং পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পাসকৃতদের সিনিয়রিটি অনুসরণ করা।
- আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আট ঘণ্টা করা এবং অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার জন্য ওভারটাইম প্রদানের ব্যবস্থা করা অথবা বছরে দুটি বেসিকের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
