আগস্ট ২৯, ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম
চাকরির প্রলোভনে বিপুল অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা ফজলুল হকসহ ৪ জনকে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোঃ ফজলুল হক (৫৬), মোঃ হুমায়ন কবির (৪৪)আবু সাইম রিয়াজ (৩২), মামুনুর রশিদ (২৪)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৭২টি বিভিন্ন নামীয় নিয়োগপত্র, ১টি টাকা গ্রহণ রশিদ বহি, ১টি সিপিইউ, ১টি মনিটর, ১টি প্রিন্টার, ১টি মাউস, ১টি কী-বোর্ড, ৫টি বিভিন্ন ক্যাবল, ৪টি বই, ১টি পাসপোর্ট, ১টি এটিএম কার্ড, ৯টি মোবাইল ও নগদ-১,০০০/- টাকা উদ্ধার করে র্যাব ১০।
এবিষয়ে ২৯ আগস্ট ইমেইল বিজ্ঞপ্তিতে জানায় র্যাব ১০।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে গ্রেফতারকৃত ফজলুল হক প্রতারক চক্রটির মূলহোতা। তিনি একটি নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয়ে দেশের প্রতিটি জেলার প্রতিটি থানায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার, পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জামানত বাবদ জন প্রতি ২০ হাজার টাকা করে নিতেন। এসব নিয়েগের ক্ষেত্রে উক্ত থানা এলাকার স্থানীয় বিভিন্ন সরকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং চাকুরী সন্ধানী বিভিন্ন সুনামধন্য ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বাছাই করতেন যাতে করে স্থানীয় সরকারী/বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে কোন অসুবিধা না হয়।প্রতারক চক্রের মূলহোতা ফজলুল হক ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে প্রত্যেক থানায় একজন সুপারভাইজার ও উক্ত সুপারভাইজার এর অধীনে ৩ জন করে পরিদর্শক এবং এক জন পরিদর্শক এর অধীনে ০৫টি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লোভনীয় অফার এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব বণ্টন করতেন।
পরবর্তীতে, ফজলুল হক ও তার সহযোগীরা থানা পর্যায়ে ভুয়া নিয়োগ প্রাপ্ত সুপারভাইজারদের দ্বারা গ্রামের বিভিন্ন স্কুলে তার নির্দিষ্ট কিছু বই বিতরন করতেন। উক্ত বইয়ের আলোকে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার হিসেবে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রণের রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জন প্রতি ১০০/২০০ টাকা করে হাতিয়ে নিতেন। এছাড়া উপবৃত্তি দেওয়ার নাম করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে উপবৃত্তির রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১৫০/২০০ টাকা করে সংগ্রহের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যেক থানার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে কোটি কোটি টাকা অত্মসাৎ করে আসছিল বলে জানা যায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত ফজলুল হক এর বিরুদ্ধে প্রতারণার অপরাধে বিভিন্ন থানায় ০৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।