দুধের ঘাটতি পূরণে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বাসস

নভেম্বর ১১, ২০২৪, ১১:০৯ এএম

দুধের ঘাটতি পূরণে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

দুধের ঘাটতি পূরণে আমদানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমদানি নির্ভরতা থাকলে দুধের যে উৎসগুলো আছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমাদানি নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি টেকনোলজি বদলাতে হবে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফিশারিজ এন্ড লাইভস্টক জার্নালিস্টস ফোরামের (এফএলজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশের ডেইরি খাতের সমস্যা-সম্ভবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, একদিকে যেমন মৎস্য ও মৎস্যখাত বৈষম্যের শিকার, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ খাত অসম সংবাদের শিকার। পত্র-পত্রিকা এমনকি টেলিভিশনেও অনেক সময় ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়, সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশনের জন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আমিষ জাতীয় খাদ্যের যোগান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে আসে। এ খাতের মূল্যায়ন না করা হলে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফরিদা আখতার বলেন, নারীরা অত্যন্ত যতেœর সাথে গবাদি পশু পালন করে থাকে। চরাঞ্চলে যাদের কিছুই নাই এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত তারাও গবাদি পশু পালন করে বেঁচে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন খামারী এবং কোম্পানিগুলো দুধ ও মাংসের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে।  প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ দুধ ও মাংস সরবরাহ করছে কিনা সে লক্ষ্যে সকলকে  কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন,  দেশীয় জাতের গরুর দুধের নির্ভরশীলতা বিদেশী গরুর চেয়ে কম হলেও বেশি দুধের আশায় ফিড নির্ভরতা না হয়ে খামারীদের গোচারণ ভূমি নির্ভর হতে হবে এবং তা রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, কৃষিতে আগাছানাশক ঘাস মারতে হার্বিসাইড প্রয়োগ করায় গরুর ঘাস নষ্ট হচ্ছে।  এ বিষয়ে কৃষির সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার।

উপদেষ্টা আরও বলেন, গ্রামের ঘরে ঘরে ক্ষুদ্র খামারী আছে। তাদের সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে দুধের ঘাটতি মিটিয়ে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবে।

আরও পড়ুনঃ ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমলো

এফএলজেএফের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে সেমিনারে  আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. রেয়াজুল হক, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. এম এ সালেক।

এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক  জাহিদুর রহমান ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বায়েজীদ মুন্সী।

এছাড়াও সেমিনারে তৃণমূলের ক্ষুদ্র খামারীরা বক্তৃতা করেন।

Link copied!