সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মালয়েশিয়া যেতে না পারা প্রবাসী কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সার্ক ফোয়ারা এলাকায় তারা জড়ো হয়ে সমাবেশ শুরু করেন। এতে ওই এলাকা ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বেলা সাড়ে ১১টার পর অবরোধ তুলে নিলেও ফোয়ারার চারপাশে অবস্থান করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মো. কাওসার জানান, তাদের মালয়েশিয়ায় যাত্রা ২০২৪ সালের মে মাসের মধ্যে হওয়ার কথা থাকলেও এখনও যাওয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি দাবি করেন, এরই মধ্যে ৫-৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার; যার বেশির ভাগই ঋণ।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া মাইন উদ্দিন বাবু বলেন, ‘আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। সরকার আশ্বস্ত করেছিল, কিন্তু বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।’
বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা সেই ১৭ হাজার শ্রমিকের অন্তর্ভুক্ত, যারা মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ২০২৪ সালের ৩১ মে সময়সীমার মধ্যে যাত্রা করতে পারেননি।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলমের আশ্বাসে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আলোচনার জন্য আন্দোলনকারীদের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে যায়।
শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-
১. যাদের ই-ভিসা ৩১ মে’র আগে ইস্যু হয়েছে কিন্তু জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পাননি এবং যারা সব প্রক্রিয়া শেষ করেছেন, তাদের দ্রুত মালয়েশিয়ায় পাঠাতে হবে।
২. নতুন সাক্ষাৎকার হোক বা না হোক, কোনো শ্রমিককে প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা যাবে না।
৩. অতি দ্রুত একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে এবং লিখিতভাবে একটি স্মারকলিপি দিতে হবে।
৪. প্রধান উপদেষ্টা ও প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই স্মারকলিপি জমা দিতে হবে।
৫. লিখিত সময়সীমার মধ্যে শ্রমিকদের পাঠানো সম্ভব না হলে সরকারকে অবিলম্বে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।