খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে।
এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। এদিকে, সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার। টানা বর্ষণে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন বলেন, “সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।”
এদিকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার বিশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, রংপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, টাংগাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।