জুন ২৩, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিয়ে আট স্কাউট সদস্য ইতিহাস গড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তাদের পরিবারকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেছেন, “আজকে স্কাউটিং ইতিহাসে একটা বিশেষ দিন। শুধু বাংলাদেশের স্কাউটিংয়ের ক্ষেত্রে না, পুরো বিশ্বের স্কাউটিংয়ের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা বিশেষ গৌরবের।
“যে আটজন স্কাউট আত্মাহুতি দিল দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করার জন্য সেটা দিয়েই এই ইতিহাসের সৃষ্টি। স্কাউটিংয়ের ইতিহাসে এরকম নজির আর কোথাও নাই। বাংলাদেশের স্কাউটরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বলে আমরা সারাবিশ্বের পক্ষ থেকে তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
সোমবার, ২৩ জুন ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশ স্কাউটসের কাব কার্নিভালের উদ্বোধন ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেখানে কাব স্কাউটদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড’ এবং জুলাই আন্দোলনে শহীদ আট স্কাউটের পরিবারের হাতে স্কাউটসের সাহসিকতার পুরস্কার ‘গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের উদ্দেশে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “যারা পুরস্কার পেলে এবং যারা আজ উপস্থিত আছো, তোমাদের সবার দায়িত্ব হলো দরজা খোলা। দরজা বন্ধ বলে আক্ষেপের দিকে থেকে গেলে হবে না। দরজা তোমাকেই খুলতে হবে।
“যেহেতু তুমি অনেকদূর এগিয়ে এসছো, এগিয়ে এসছো বলেই তুমি স্কাউট হয়েছো- তোমার স্কুলের বাকিরা হয় নাই। কাজেই তোমার দায়িত্ব হলো অন্যদের জন্যও দরজা খুলে দেওয়া। তুমি যদি না খোল, এ দরজা বন্ধ থেকেই যাবে।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস নিজেকে স্কাউট পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে তার ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। ১৯৫৫ সালে ১৫ বছর বয়সে তিনি কানাডায় অনুষ্ঠিত দশম বিশ্ব বয় স্কাউট জাম্বুরিতে অংশ নেন। সেসময় তিনি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এ এক মস্ত বড় সুযোগ, পৃথিবীকে আবিষ্কার করার; তার চাইতে বড় নিজেকে আবিষ্কার করার। নাহলে গৎবাঁধা জীবনে নিজের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আর কোনো সুযোগ নাই।
“তোমরা যাতে স্কাউটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভবিষ্যতের পৃথিবী রচনা করতে পারো, সে কথাটা মনে রাখতে হবে।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দেশের ৪৯৫টি উপজেলা, ৫টি মহানগরসহ মোট ৫২৭টি স্থানে একযোগে কাব কার্নিভাল শুরু করেছে বাংলাদেশ স্কাউটস।