খুলনা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাও, ফটকে তালা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২৫, ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম

খুলনা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাও, ফটকে তালা

ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় এক উপপরিদর্শককে (এসআই) মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।

বুধবার, ২৫ জুন দুপুর থেকে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তারা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন এবং সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর প্রথম আলো।

বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। বেলা দুইটার দিকে মিছিল নিয়ে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষোভে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভকারীরা ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘সুকান্তের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনারের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনার জুলফিকার, আস্ত একটা স্বৈরাচার’, ‘অবৈধ পুলিশ লীগ, মানি না, মানব না’, ‘লড়তে হবে, লড়তে হবেএই লড়াই জিততে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত কুমার দাসকে আটক করে মারধর করেন স্থানীয় জনতা ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত। খুলনায় একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে এ ঘটনার শিকার হন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাতে কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে সুকান্ত কুমারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, সুকান্তর বিরুদ্ধে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম ওরফে মনার বাসভবনে হামলা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানমুখী আন্দোলনে পুলিশের হামলার অভিযোগে অন্তত চারটি মামলা আছে। এসব মামলার একজন অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া আইনের অপব্যবহার এবং পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রমাণ বলেও অভিযোগ তাদের। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন বলে জানান তারা। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চললেও এ বিষয়ে কেএমপির পক্ষ থেকে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে গত ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়, যা বর্তমানে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ ছাড়া বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলমের বাসায় ভাঙচুরসহ আরও দুটি মামলা চলমান আছে তার বিরুদ্ধে।

Link copied!