বগুড়ায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে আটকের কিছু সময় পর হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে আটক এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হাবিবুর রহমান হাবিব। ৩৬ বছর বয়সী হাবিব এক আইনজীবীর সহকারী ছিলেন।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ‘শাজাহানপুর থানার একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে আটক করা হয়। ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় হাবিব বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসাপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান।’
হাবিবুর রহমান শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া দামারপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বাবলুর ছেলে। তিনি বগুড়া জেলা জজ আদালতে সিনিয়র আইনজীবী মঞ্জুরুল হকের ভাগ্নে এবং তারই সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
আইনজীবী মঞ্জুরুল হক জানান, ‘মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আমি আদালত থেকে বের হয়ে যাই। এরপর হাবিবকে ফোন করে মামলার নথিপত্র নিয়ে যেতে বলি। ১৫ মিনিট পর জানতে পারি একটি মাইক্রোবাসে অপেক্ষারত ডিবি পুলিশের সদস্যরা আদালতের সামনের রাস্তা থেকে হাবিবকে তুলে নিয়ে গেছে। রাত ৯টার দিকে লোকমুখে হাবিবের মৃত্যু সংবাদ পাই।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২ আগস্ট শাজাহানপুর থানার জোড়া গ্রামের খুকি বেওয়া (৮০) নিখোঁজ হন। ৪ আগস্ট গ্রামের একটি পুকুরে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হলেও লাশ উদ্ধারের সময় একটি পা পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে একই গ্রামের মুন্না বেওয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে খুকি বেওয়ার বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, খুকি বেওয়া হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। ডিবি পুলিশ ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটকের পর হাসপাতালে মারা গেছে বলে শুনেছি।