তিস্তার গজলডোবা ব্যারেজ দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ পানি ছেড়েছে ভারত। এর সাথে যোগ হয়েছে উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা বর্ষণ। এর ফলে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। এমতাবস্থায় ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত লালমনিরহাটের হাজারো কৃষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা গণমাধ্যমকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ফসলের খেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পানিবন্দী পরিবারদের তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ি, শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।