এটি ভিন্নধর্মী সরকার: নাহিদ ইসলাম

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

এটি ভিন্নধর্মী সরকার: নাহিদ ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

‘বর্তমান সরকার আসলে একটি ভিন্নধর্মী সরকার। সেই জায়গায় আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের হয়তো অনেক ভুল থাকবে। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করলে আমরা সেটা আন্তরিকভাবেই নেব। যেকোনো ধরনের সমালোচনাকে আমরা ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। আমাদের প্রধান উপদেষ্টাও সেই কথাই বলেছেন।’

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা সচিবালয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গঠনমূলক সমালোচনা হলে সেটি আমাদের জন্য উপকারী হবে। এতে আমরা নিজেদের কাজের প্রতিফলন দেখতে পাই, শুধরে নিতে পারি। সেই জায়গা থেকে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করি।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছি। সেটি স্বাধীনভাবেই কাজ করবে। সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা একটা রূপরেখা উপস্থাপন করবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আবার বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে, তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা কিংবা সংবাদমাধ্যম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন অংশীজন একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। এখানে অনেক পরস্পর-বিরোধী অংশীজন থাকে। ওয়েজবোর্ডের কথাই যদি বলি, তাহলে সম্পাদক, মালিক ও রিপোর্টাররা একেকজন একেকটা পক্ষ নেবে। সবাই মিলে এক জায়গায় আসতে হবে।’

সাইবার সিকিউরিটি আইন বিষয়ে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য আইনগুলোও আমাদের পর্যালোচনায় আছে। সংস্কার কমিটিরও প্রধান কাজ হবে আইনগুলোর বিষয়ে পর্যালোচনা করা। যত কম সংখ্যক আইন এবং কম বাধা তৈরি করা যায়, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য তা ততই ভালো।’

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকা আসলে কী ছিল, কারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল- এটা সুস্পষ্ট থাকা উচিত। যদি কেউ ভুল করে থাকে কিংবা পরিস্থিতির শিকার হয়, তাহলে তাকে ভুল স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।’

‘৫ আগস্টের পর কেউ যদি ভোল্ট পাল্টে ফেলে, এটা তো হওয়া উচিত নয়। তাকে সত্যটা স্বীকার করা উচিত। সত্যের মধ্যে দিয়ে এলেই রিকনসিলিয়েশন সম্ভব।’

Link copied!