নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ১১:৫৭ এএম
মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বা ঘূর্ণিঝড়েও রূপান্তরিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, ‘নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে “মিধিলি”। এটি মালদ্বীপের দেওয়া নাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর না হলেও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।’
বুধবার দুপুর ১২টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।