ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করায় জাতিসংঘের সন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৩:১৮ পিএম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করায় জাতিসংঘের সন্তোষ

সংগৃহীত ছবি

বহুল আলোচিত-সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা Digital Security Act-2018 পরিবর্তন করায় বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তোষ জানিয়েছে জাতিসংঘ।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস এ সন্তোষ প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, “নতুন আইনে যা পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা গেছে, তা যেন কার্যকর হয় সে ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। তবে প্রস্তাবিত নতুন আইন সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। তবে ঘটনা হচ্ছে, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ এখন আর নেই, সেখানে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।”

গোয়েন লুইস আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। আইনটিকে ভালোভাবে যাচাই করার মতো কারিগরি জ্ঞানসম্পর্কিত ব্যক্তি না আমি। কিন্তু এই পরিবর্তনেই আমি খুব খুশি।

প্রসঙ্গত,  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, চরমপন্থা, সন্ত্রাসী প্রচারণা এবং ধর্মীয় বা জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণার বিস্তার বন্ধ করার জন্য ৮ অক্টোবর, ২০১৮ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গৃহীত হয়েছিল। একই বছরের ৮ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। 

আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকে বিশেষ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারের জন্য ক্রমবর্ধমান সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

আইনটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ হয়েছে ভিন্নমতের রাজনীতিক, সাংবাদিক ও শিক্ষকদের ক্ষেত্রে। সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রেও এ আইনের আনুপাতিক ব্যবহার বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে র্দীঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল।

বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সমালোচনা করেছে। এই আইনের বেশ কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের জন্য দেশের সাংবাদিক সমাজও সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছে আসছিল।

তাছাড়া,সম্প্রতি ঢাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল  ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে দেশটির প্রতিনিধি দল  ঢাকা সফর শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার অগে সংবাদ সম্মেলনে ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাতের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে যান।

Link copied!