আগস্ট ১৭, ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে আত্মগোপনে থাকা দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আফসার আলী থানায় মামলা করতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) নিজের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগে মামলা করতে এলে তার সঙ্গে সেখানে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে হুমকি দেন তিনি। এর ফলে শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের তোপের মুখে মৌখিকভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন আফসার আলী। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দায়ের করা একটি মামলায় গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে বোচাগঞ্জ থানা চত্বরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সেতাবগঞ্জে সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে উপজেলা চেয়ারম্যান আফসার আলীর নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। একই সময় মারধর করে গুম করে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। সেই সঙ্গে মিছিলে থাকা মেয়েদের শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটে। তাদের হুমকিধমকির কারণে এলাকার কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।
মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে সাবেক নৌ-প্রতিমন্ত্রী ও দিনাজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তার ব্যক্তিগত সচিব আবদুল বাশারসহ ২৪ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ের ৭০-৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
থানায় মামলা করতে এসে আফসার আলীর গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “উপজেলা চেয়ারম্যান থানায় এসেছিলেন। তখন থানায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের কথা কাটাকাটি হয়। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মৌখিকভাবে পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।”
বোচাগঞ্জ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনকারী সেনা সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের দায়ের করা একটি মামলায় চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।