জুন ২৪, ২০২৩, ১০:০৯ পিএম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এই সরকার বৈধ নয়। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
শনিবার (২৪ জুন) বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি নির্বাচন হয়েছে। একবার আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে, একবার বিএনপি সরকারে এসেছে। জনগণ মেনে নিয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ২০১২ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করে দিয়ে নিয়ে আসলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। মানে শেখ হাসিনা সরকারে থেকে নির্বাচন হবে। এরপরের সব নির্বাচনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছে। সুতরাং এই সরকার বৈধ সরকার নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়। তিনি বলেন, সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন পার্লামেন্ট গঠন করে জনগণের স্বপ্ন সুন্দরভাবে গড়তে হবে।
বিএনপির সাত শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১২ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ১১ বছর আগে এই হাসিনা সরকারের সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফিরোজ খান, মিরাজ খানকে তুলে নিয়ে গেছে। শুধু এই দুজনই নয়, আমাদের সাত শতাধিক নেতাকর্মীকে তারা গুম করেছে। আমাদের ইলিয়াস খান ২০১২ সালে যখন গুম হয়ে যায়, তার মেয়ের বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। এখন ১৭-১৮ বা তার বেশি বয়স হয়ে গেছে তার। কিন্তু এখনো সে দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে, এই বুঝি তার বাবা ফেরত আসলো। এই ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার আজ শিশুদের পিতৃহারা করেছে, মায়েদের সন্তানহারা করেছে, স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ কী পরিমাণে চুরি করেছে তা চিন্তা করা যায় না। কিছু দিন আগেও খবর বেরিয়েছে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের অনেক টাকা জমা। আর বাংলাদেশের অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী যখন সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করে এলেন, তারপর খবর বের হলো সেই সুইস ব্যাংকের টাকা নাকি উধাও হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ জানে, আওয়ামী লীগ শুধু ভোট চোর না এরা সবক্ষেত্র থেকে চুরি করে। সরকার দেশে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করলো। ঘোষণা দিল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার। তাহলে এতগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ গেল কোথায়? সরকারের একমাত্র লক্ষ্য চুরি-ডাকাতি করে বিদেশে পাচার করা।
তিনি আরও বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আমাদের সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এভাবে আর আমরা মামলা খেতেই থাকবো না। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এভাবে আর চলেতে দেওয়া যাবে না। এই ফ্যাসিবাদি সরকারকে পরাজিত করে, জনগণকে জয়ী করে ঘরে ফিরতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তবেই ঘরে ফিরবো আমরা।